ঢাকাSunday , 26 February 2023
  • অন্যান্য

শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে আহতের ঘটনায় আটক ৫

এম নূরউদ্দিন আহমেদ
February 26, 2023 6:07 pm । ১৭৭ জন
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করার হত্যার চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জরিত সন্দেহে আরিফ সরকারকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। বাকি ৪জনকে আটক করে শিবপুর থানা পুলিশ।

আটক আরিফ সরকার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন এর ছেলে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে ঢাকার শেওরাপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে মহানগর ডিবি পুলিশ।

আটক বাকি ৪জন হলেন- আরিফ সরকারের বড় ভাই ফরিদ সরকার (৬৩) একই উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের রোকন উদ্দিন এর ছেলে সাব্বির (৩২), একই গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে মনসুর আহমেদ রানা (৪৩)ও কামারগাঁয়ের সিরাজ মোল্লার ছেলে মোমেন মোল্লা (৫৫)।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি চেয়ারম্যান এর পরিবার।

আরিফের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে গুলি করে শ্যুটার মোবারক। তবে সে ঘটনাস্থলে থাকলেও বাসার ভিতরে প্রবেশ করেনি। এদিকে শ্যুটার মোবারকের কোন সন্ধান পাচ্ছে না পুলিশ। মোবারক ও মহসিন নামে দুই অস্ত্রধারীকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশের একাধিক টিম।

পুলিশ আরো জানায়, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটিয়ে তার একাধিক বন্ধুদেরকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানের খোঁজখবর জানতে চেয়েছে। এসময় তাকে তার বন্ধুরা তার অবস্থান জানতে চাইলে সে জানায় রাতেই সে দুবাই চলে এসেছে। ডিবি পুলিশের ধারণা এ গোলাগুলির ঘটনার সাথে রাজনৈতিক ঘটনা জড়িত।

উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ এর ভাতিজা রাব্বি খান জানান, তিনি এখন শংকা মুক্ত হলেও আর আগের মত হাঁটতে পারবেন না।

চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া দুটি গুলির মধ্যে একটি তার মেরুদণ্ডে বিঁধেছে। এই বয়সে এটি আর জোড়া লাগা সম্ভব নয়। যতদিন বেঁচে থাকবেন তিনি ততদিন তাকে হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করতে হবে।

এদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পুরো জেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারদলীয় ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সুশীল সমাজের লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছেন ।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দল ক্ষমতায় অথচ আমরা গুলিবিদ্ধ হই। শিবপুর থেকে চিরতরে এই অপরাজনীতি দূর করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তা চাঁদের আলোর মত পরিস্কার। আমরা চাই পুলিশ তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনুক।

এদিকে এ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদ। রবিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসময় দ্রুত এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানান তারা।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মহসিন নাজির এর সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বুলু মাষ্টার, ডেপুটি কমান্ডার মোতালিব খান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।