শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
নরসিংদীর শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের শালুরদিয়া গ্রামে মনি আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বারান্দার গ্ৰীলে ঝুলিয়ে (মেঝেতে) রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে । শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের শালুরদিয়া গ্রামে নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন (৩৮) এর বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন ও তার সৎ ভাই শামীম, শশুর রফিজ উদ্দিনকে আটক করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এএসপি শিবপুর সার্কেল মেজবাউদ্দিন, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে শালুরদিয়া গ্ৰামের মৃত শরিয়ত উল্লাহ মোক্তারের মেয়ে মনি আক্তার ও একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাঈলের সাথে ভালোবাসার বন্ধন হয় পরে পারিবারিকভাবে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই কাটছিল। ঘর আলো করে তাদের সংসারে আসে তিন কন্যা সন্তান ইসমা (১১) তাবাসসুম (৯) ও ৬ মাসের তাসনিন। দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মামলা চলমান থাকায় সংসারে অশান্তির সৃষ্টি শুরু হয়। বাবার দেওয়া মামলায় একাধিকবার জেল ও খেটেছেন ছেলে ইসমাইল। পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার পর ঘরের বারান্দায় গ্ৰীলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে জানান নিহতের পরিবার।
নিহতের মা বিলকিস বেগম জানান, আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে, আমি তাদের শাস্তি চাই।
পুটিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহবুব জানান, সংবাদ পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে যাই। হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন নিহতের স্বামী, তার সৎ ভাই ও শ্বশুরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) আবুল ফায়েজ বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে নিহতের স্বামীর ঘরের বারান্দায় বসা অবস্থায় গ্ৰীলের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃতদেহটি উদ্ধার করি। পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এস আই আফজালের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় ৫ জনের নামে ১৯ মার্চ রবিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে, মামলা নং-২৪।