নিজস্ব প্রতিবেদক :
নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রী’কে টিকটকে বাধা দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন হতভাগা স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাত্তাকান্দা গ্রামে।
ভুক্তভোগী স্বামী কুদ্দুস মিয়া জানান, পারিবারিক সম্মতিক্রমে উপজেলার বড়চর গ্রামের সামাদ মিয়ার মেয়ে হেপি বেগমের সাথে আমার বিয়ে হয়। সংসার জীবনও ভালোই কাটছিলো। আমাদের একজন পুত্র সন্তান ও রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে হেপি টিকটক করা শুরু করে। বিষয়টি আমার নজরে আসলে এগুলো করা ভালো নয়, বন্ধু বান্ধব হাসাহাসি করে আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি। একাধিক বার তাকে অনুরোধ করার পরও সে টিকটকের পথ থেকে ফিরে না আসলে আমি তাকে শাসন করি। এক পর্যায়ে সে আমাকে জানিয়ে দেয় যে, আমাকে ছাড়তে পারবে কিন্তু টিকটক ছাড়তে পারবেনা।
পরে আমি তার সাথে রাগারাগি করে বাড়ীতে কাজে বের হয় আবার সন্ধায় বাসায় ফিরে দেখি ঘরের দরজায় তালা ঝুলানো। পরে বাড়ীর লোকের জানায় সে তার বাবার বাড়ীতে চলেগেছে।
পরে একাধিক বার ফোনে বাড়ীতে আসার জন্য অনুরোধ জানালে সে আমাকে সাফ জানিয়ে দেয়, টিকটক করার অনুমতি দিলে সে আসবে নতুবা আর আসবেনা। পরে একাধিক বার শুশুর বাড়ীতে গিয়েও তাকে (স্ত্রীকে) নিজের বাড়ীতে আনতে পারেনি বরং আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন কুদ্দুস। কুদ্দুস তাত্তাকান্দা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
গত ২৫-০৩-২০২৩ শনিবার সরজমিনে গিয়ে হেপি বেগম ও তার পরিবারকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন তারা ঢাকায় চলেগেছেন এবং হেপি গার্মেন্টসে চাকরী নিয়েছে। মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে মামলার ১নং স্বাক্ষী হেপি বেগমের বড় বোনের জামায় নাজিম উদ্দীন জানান, মামলার ব্যাপারে শুনেছি কিন্তু মামলার এজাহারে যা লেখা আছে এগুলো সম্পুর্ন মিথ্যা। তবে আমি শুনেছি হেপির জামাই হেপিকে মারদর করেছে। অপর এক স্বাক্ষী বড়চর গ্রামের শরফত জানান, শুনেছি মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করার হয়েছে। মেয়েটাকে তার স্বামী মারদর করে এজন্য কোর্টে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়ের মামা।
মামলার আরেক স্বাক্ষী সাহের চর গ্রামের মিলন মিয়া জানান, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে কিছু না বলে কেন স্বাক্ষী করা হয়েছে আমি এর বিচার চাই।।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবউল্লাহ হাবিব বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। আমি মেয়ের পরিবারকে একাধিকবার গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর দিয়েছি তারা আসেনাই। এরা খুবই দুষ্ট প্রকৃতির লোক। বিষয়টির সঠিক বিচার হওয়া উচিত।