রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতারণাপূর্বক জাল দলিল করে বোনদের বঞ্চিত করে পৈতৃক জমি তাদের এক ভাই লিখে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরা পৌর এলাকার তুলাতলী গ্রামে। তুলাতলী এলাকার মৃত ছালামত আলীর মেয়ে জোহরা বেগম, দেলোয়ারা, জাহানারা, ও দোলেনা বেগম আজ শনিবার (১৩মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, তাদের ভাই আলকাস মিয়া তার স্ত্রীর কুমন্ত্রণায় তাদের বাবার রেখে যাওয়া সকল জমি-জমা ভূয়া দলিল সৃজন করে আত্মসাৎ করেছে।
যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও জালিয়াতি। তাই বোনেরা মিলে আদালতে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন ভায়ের বিরুদ্ধে। মামলা চলমান। লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর বোন দোলেনা বেগম জানান, বাবার অসুস্থতার সময় চিকিৎসার দায়ভার আমার ভাই বহন করেনাই। আমরা চার বোনেরা সাধ্যমত চিকিৎসা করিয়েছি।
অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার বাবা ২গন্ডা জমি বিক্রি করেন। উক্ত ২গন্ডা জমি আমি নগদ অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে সাব-কবলা রেজিস্ট্রি করে নিই। সেই জমিসহ আমার ভাবি সাজেদা বেগম আমার ভায়ের নামে খারিজ করে নেই। যাহা সম্পূর্ণ অনৈতিক। অভিযুক্ত জমি যার দাগ নং আরএস ৪৪৬,৪৪৭ , জমির পরিমান ৪৭শতাংশ এবং আরেকটি জমির দাগ এসএ ১৪২, আরএস ৩৭৯, জমির পরিমান ১৬শতাংশ।
উপরোক্ত বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আলকাস মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে জানাযায় তিনি চলে গেছেন প্রবাসে। তার স্ত্রী সাজেদা বেগমের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক সাজেদা থেকে মাজেদা হয়ে যান এবং তার বোন সাজেদা বাড়ীতে নেই বলে জানান। পরক্ষণেই সাজেদা থেকে মাজেদা হয়ে যাওয়া ব্যাক্তি জানান, আমাদের বৈধ দলিল আছে, আমাদের লোকজন উপস্থিত করে পরে দেখাবো। মূহুর্তের কিছুই বলার নাই।
এবিষয়ে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কমিশনার আহসান উল্লাহ খান বলেন, আমি অনেক আগে শুনেছি ছালামত মিয়া নাকি তার ছেলে আলকাস’কে জমি জমা লিখে দিয়েছে। ঐ’সময় তাদের পারিবারিক কিছু ঝামেলা থাকলেও পরবর্তীতে আর কোন কিছু শুনিনাই।