নিজস্ব প্রতিবেদক :
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষায় জুলহাস মিয়া নামের এক যুবক (২৮)কে বাড়ীতে গিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ সুমন মিয়া (২৩) ও রাকিব মিয়া (২২) নামে ২’জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে রায়পুরা উপজেলার হরিপুর এলাকার কাওয়াবাড়ী ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগরের থোল্লাকান্দি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত আসামী সুমন মিয়ার কাছ ১’টি একনালা বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সুমন মিয়া রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বটতলীকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে এবং রাকিব একই উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের দড়িগাঁও গ্রামের মঙ্গল ব্যাপারীর ছেলে। আসামী সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানাগেছে।
এবিষয়ে বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার, রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রায়পুরার চরাঞ্চলে ককটেল ফাঁটাতে বাধা দেওয়ায় পবিত্র ইদুল ফিতরের (ঈদের) দিন সন্ধ্যায় পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়া (২৮)কে তার বাড়ীতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহতের মা হালিমা বেগম বাদি হয়ে জব্বার মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।